Diploma in Computer Science & Technology


                                      ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কম্পিউটার সাইন্স এন্ড টেকনোলজি


বর্তমান সরকার তথ্য প্রযুক্তি ভিত্তিক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রতি সার্বিক গুরুত্ব প্রদান করছে । ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম প্রধান হাতিয়ার কম্পিউটার । সাম্প্রতি সময়ে বাংলাদেশ তথ্য প্রযুক্তির ব্যাপক বিস্তার ঘটছে। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি আধুনিক মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার জণ্য কম্পিউটার শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। সরকার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে কম্পিউটার শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার পরিকল্পনা গ্রহন করেছে । এছাড়াও সরকারি বেসরকারি খাতে নিয়োজিত  মানব সম্পদের  কম্পিউটার শিক্ষা অপরিহার্য। দেশের প্রযুক্তিতে দক্ষ মানব সম্পদের চাহিদা  দিন দিন বাড়ছে। বর্ধিত চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে না চলতে পারলে অদুর ভবিষ্যতে দেশে কম্পিউটার পেশাজিবির অভাব দেখা দেবে। বাংলাদেশের তরুণেরা মাইক্রোসফট, নাসা গুগোল ,ইউটিউব , ফেসবুক সহ বিশ্বের বিভিন্ন নামকরা প্রতিষ্ঠানে সুনামের সাথে কাজ করছে। ইউটিউবের সহপ্রতিষ্ঠাতা একজন বাংলাদেশি।১৯৯০ সালের দিকে এই বিতর্ক জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল যে, কম্পিউটার বেকার সমস্যা উৎসাহিত করবে কিনা ? আধুনিক কম্পিউটার প্রযুক্তি বেকার সমস্যা সৃষ্টি করেনি বরং লক্ষ লক্ষ তরুনের মর্যাদাসম্পন্ন  জীবন নিশ্চিত করেছে। কম্পিউটার সফটওয়্যারের দক্ষ জনশক্তি  এই ইন্ডাস্ট্রির জন্য একটি সম্পদএকজন দক্ষ প্রোগ্রামার কেবলমাত্র তার মেধার ব্যবহার করে অতি অল্প সময়ে  আর্থিক স্বচ্ছলতা লাভ করতে পারেন।এক্ষেত্রে অন্য কোন পুঁজির দরকার হয় না । বাংলাদেশে দক্ষ সফটওয়্যার প্রকৌশলীর চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকার এক্ষেত্রে উৎসাহ প্রদান করছে। ঢাকার জনতা টাওয়ার সহ বহু প্রতিষ্ঠান দেশের লক্ষাধিক তরুনের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করবে। বাংলাদেশের তরুনেরা ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে ইতিপূর্বে বিশ্ববাজারে নিজেদের অবস্থান তৈরী করছে।দক্ষ ফ্রিল্যান্সরা ওডেস্কসহ বিভিন্ন মার্কেট প্লেসে সুনামের সাথে কাজ করছে। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে আয়ের ক্ষেত্রে অষ্টম স্থানে অবস্থান করছে।   আগামিতে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের ক্ষেত্রে ক্ষেত্রে হতে পারে ফ্রিল্যান্সিং। এক্ষেত্রে দক্ষতা অর্র্জনের জন্য কম্পিউটার টেকনোলজির কোন বিকল্প নেই। সরকার দেশে প্রতিটি সরকারি কলেজ ও পর্যায়ক্রমে মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্তরে আইসিটি(ICT) শিক্ষা চালু করার পরিকল্পনা গ্রহন করে। এক্ষেত্রে আগামী এক দশকে শুধুমাত্র শিক্ষা খাতেই ১০ লক্ষাধিক কম্পিউটার শিক্ষিত দক্ষ জনবল দরকার হবে।


পরিবর্তিত বিশ্বব্যবস্থার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে দরকার আধুনিক তথ্য প্রযুক্তিতে শিক্ষিত জনবল যা পূরণ করতে পারে কেবলমাত্র কম্পিউটার শিক্ষা।